Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ জুন ২০২০

পঙ্গপালের আক্রমণ দমনে করণীয় বিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2020-06-04

পঙ্গপাল ঘাসফড়িং জাতীয় মরু অঞ্চলীয় পোকা যার প্রাদূর্ভাব বিশেষভাবে আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন মরু অঞ্চলীয় দেশে বা এলাকায় দেখা যায়। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০০ মি.মি থেকে ২৫০ মি.মি-  এসব দেশ বা অঞ্চলে এর প্রাদূর্ভাব দেখো যায়। বালাদেশের আবহাওয়া আদ্র হওয়ায় এবং বার্ষিক গড় বৃষ্টি পাত ২০০০ মি.মি এর বেশী হওয়ায় এদেশে পঙ্গপালের আক্রমণের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবে সম্ভাব্য আক্রমণ দমনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের উদ্যোগে অদ্য ০৪ জুন ২০২০ তারিখ সকাল ১০:০০ ঘটিকায় বিএআরসি’র ০১ নং সভাকক্ষে পঙ্গপালের আক্রমণ দমনে করণীয় বিষয়ক অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় দেশের কৃষি বিজ্ঞানীগণ এ অভিমত ব্যাক্ত করেন। 

বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি), কৃষি মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা), কৃষি মন্ত্রণালয় ।

সভায় জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা (এফএও) এর পক্ষে ড. নুর আহম্মেদ খন্দকার, সহকারী এফএও প্রতিনিধি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পঙ্গপালের আক্রমণ বিষয়ক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে সম্প্রতি কক্স বাজারের টেকনাফের পঙ্গপাল সদৃশ পোকার উপস্থিতি বিষয়ে ড. নির্মল কুমার দত্ত, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিএআরআই, অপর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করে সভার প্রধান অতিথি সম্প্রতি ভারতের কয়েকটি রাজ্যে পঙ্গপালের প্রাদূর্ভাব দেখা দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন যে নিকট প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশেও এর আক্রমণ হতে পারে। এজন্য পূর্ব থেকেই আমাদের প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে বলেন যে এই ধ্বংসাত্মক পোকার আক্রমণ হতে ফসল রক্ষার্থে বিজ্ঞানীদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ পোকার দমন বিষয়ে করণীয় ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের জন্য তিনি বিজ্ঞানীদের আহবান জানান।

সম্প্রতি টেকনাফে পঙ্গপাল সদৃশ পোকার সন্ধান পাওয়ায় কথা উল্লেখ করে সভার সভাপতি বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন যে, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট (বিএআরআই), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিজ্ঞানী/কর্মকর্তাগণ কক্সবাজার জেলায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী সেগুলো ছিল ঘাসফড়িং জাতীয় পোকা যা পঙ্গপালের ন্যয় বিধ্বংসী নয়- উল্লেখ করে  তিনি বলেন যে, পঙ্গপালের  আক্রমণ দমন বিষয়ে করণীয় ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ে অদ্যকার সভার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।

পঙ্গপালের সম্ভ্যাব্য আক্রমণ দমনে করণীয়, অন্যান্য দেশে আক্রমণ দমনে অভিজ্ঞতা, দেশে স্প্রে ও ড্রোন জাতীয় যন্ত্র এবং প্রয়োজনীয় কীটনাশকের প্রাপ্যতা,  পঙ্গপালের ক্যামিকেল ও বায়োলজিকাল কন্টোল ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।  পঙ্গপালের সম্ভ্যাব্য আক্রমণ দমনে করণীয় বিষয়ে একটি জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি গবেষণা ও কৃষি সম্প্রসারণ প্রতিষ্ঠানসমূহের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন বিজ্ঞানী/ কর্মকর্তাগণ এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, FAO ও CIMMYT এর প্রতিনিধিসহ ৩০ জন বিজ্ঞানী/ কর্মকর্তা সভায় অংশগ্রহণ করেন।